বাঁধের কাজে করুণ দশায় উদ্বেগ
শান্তিগঞ্জে বাঁধ পরিদর্শনে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ
- আপলোড সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১১:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১১:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন
![শান্তিগঞ্জে বাঁধ পরিদর্শনে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ শান্তিগঞ্জে বাঁধ পরিদর্শনে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ](https://sunamkantha.com/public/postimages/67a4f2703beae.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার খাই হাওরের বিভিন্ন বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের খাই হাওরের ১নং পিআইসি পরিদর্শনে যান তারা। এ সময় বাঁধের কাজে করুণ দশায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পরিদর্শন দলে ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, শান্তিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ। এ সময় তারা বাঁধের কাজের সাথে সম্পৃক্ত পিআইসি সদস্য, হাওরপাড়ের কৃষকদের সাথে কথা বলেন।
উপজেলার ১ নং পিআইসিতে গিয়ে কাজের করুণ দশা দেখা যায়। বাঁধের কোথাও কোথাও উঁচু জায়গা কেটে সমান করা হয়েছে। কিছু জায়গায় এলোমেলোভাবে মাটি ফেলে রাখা হয়েছে।
বাঁধে কথা হয় প্রকল্পের সাধারণ স¤পাদক মো. সামছুদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ কাজ শুরু করেছি, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কিন্তু বাঁধের কাজ দেখলে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। বাঁধে ৩০-৩৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। প্রায় দুই মাসে ৩০-৩৫ শতাংশ কাজ হয়েছে, কিভাবে আরো সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কাজ শেষ করবেন এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি।
এসময় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসককে এ বাঁধ পরিদর্শনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাস্তার পাশের বাঁধের কাজের যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে হাওরের ভেতরের বাঁধগুলোর কাজের অবস্থা কি তা অনুমান করা যায়। তিনি বলেন, এবার কৃষকের কোন ক্ষতি হলে এর দায় জেলা-উপজেলা বাঁধ মনিটরিং কমিটিকেই নিতে হবে। আমরা দেখেছি সঠিক সময়ে বাঁধের কাজ শুরু হয়নি, সঠিক সময়ে শেষও হবে না। এ বিষয়ে বাঁধ মনিটরিং কমিটির বক্তব্য জানতে চায় হাওরবাসী।
এরপর নেতৃবৃন্দ একই হাওরের ২নং পিআইসি পরিদর্শন করেন। এ বাঁধে কাজ করতে কোন লোককে দেখা যায়নি। তবে একটি ক্লোজারের বড়বড় মাটির চাকা ফেলে রাখা হয়েছে। গতবারের পুরাতন বাঁশের আড় দেখা গেলেও এবছর কোন বাঁশ ব্যবহার করা হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই বাঁধের মাটি নেমে যাবে। দুটি বাঁধেই যে কাজ হয়েছে তাতে গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়নি। বাঁধ দেখে মনে হয়েছে এর কোন অভিভাবক নেই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ